মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
USD/ZAR
USD/ZAR কারেন্সি পেয়ার, যা মার্কিন ডলার এবং সাউথ আফ্রিকান র্যান্ডের পেয়ার গঠন করে, মার্কেটের সবচেয়ে অস্থির পেয়ারের মধ্যে একটি। বিগত তিন বছরে, এই পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা প্রায় 13% ছিল, যা এটিকে ট্রেডারদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয় এবং একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। স্বর্ণ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যের সাথে র্যান্ডের মূল্য ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যখন স্বর্ণের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা যায়, যেমন সংকটময় পরিস্থিতিতে, তখন USD/ZAR পেয়ারের মূল্যেরও শক্তিশালী ওঠানামা দেখা যায়।
AUD/USD
অস্ট্রেলিয়ান এবং মার্কিন ডলারের সমন্বয়ে গঠিত AUD/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়, যেটির গড় অস্থিরতার মাত্রা প্রায় 9.6%। স্বর্ণ উৎপাদনে অস্ট্রেলিয়ার উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে অসি মুদ্রাকে প্রায়ই একটি কমোডিটি কারেন্সি হিসাবে গণ্য করা হয়। মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের সাথে অসি মুদ্রার শক্তিশালী ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাকে প্রভাবিত করার আরেকটি কারণ হল চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কারণ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বাণিজ্য অংশীদার।
NZD/USD
নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন ডলার সমন্বিত এই কারেন্সি পেয়ারটির মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা প্রায় অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি, যার গড় মাত্রা 9.5%। নিউজিল্যান্ড ডলার অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং সাধারণত অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যের সাথে একই রকম ওঠানামার শিকার হয়। এছাড়াও, কিউই ডলারের মূল্যের গতিশীলতা বিশ্বব্যাপী কমোডিটি মার্কেটের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, বিশেষ করে কৃষি পণ্যের দামের উপর, যা দেশটির রপ্তানির বড় অংশ পূরণ করে।
USD/MXN
মার্কিন ডলার এবং মেক্সিকান পেসোর সমন্বয়ে গঠিত USD/MXN পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা 9.2%। এই পেয়ারের বিনিময় হারের উচ্চ মাত্রার ওঠানামা মূলত উভয় দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের কারণে ঘটে থাকে। মেক্সিকোর অর্থনীতি তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল, বিশ্বব্যাপী তেলের দামের পরিবর্তন এবং দেশটির বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকন্তু, মার্কিন অভিবাসন নীতি পেসোর উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
GBP/USD
GBP/USD কারেন্সি পেয়ার ব্রিটিশ পাউন্ড এবং মার্কিন ডলারের সমন্বয়ে গঠিত, যেটির গড় অস্থিরতার পরিমাণ 7.7%। মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি, এবং বেকারত্বের প্রতিবেদনের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের কারণে এই পেয়ারের বিনিময় হারের তীব্র পরিবর্তন ঘটে থাকে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার যে কোনও পরিবর্তনের প্রতিও এই পেয়ারের কোট অত্যন্ত সংবেদনশীল।
USD/JPY
গত তিন বছরে, ডলার/ইয়েন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা 7.6% এ পৌঁছেছে। ইয়েনকে ঐতিহ্যগতভাবে একটি নিরাপদ বিনিয়োগস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়। এছাড়াও, এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতা জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলির পাশাপাশি ব্যাংক অফ জাপান এবং ফেড দ্বারা অনুসৃত আর্থিক নীতিমালার উপর নির্ভর করে৷ এই বছরের শুরু থেকে, জাপানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের কারণে ইয়েনের দর ডলারের বিপরীতে 10% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে।
USD/CHF
USD/CHF কারেন্সি পেয়ার মার্কিন ডলার এবং সুইস ফ্রাঙ্কের সমন্বয়ে গঠিত যার মূল্যও বেশ অস্থির। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সূচকের গড় 6.7%। এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতা সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতিমালার পাশাপাশি বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহ অসংখ্য কারণের দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেহেতু সুইস ফ্রাঙ্ক একটি নিরাপদ বিনিয়োগস্থল হিসাবে বিবেচিত হয়, যেকোন সংকট, সামরিক সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এর দাম দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
EUR/USD
গত কয়েক বছরে ইউরো/ডলার কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা 6.6% এ পৌঁছেছে। এই পেয়ারের কোটের তীক্ষ্ণ ওঠানামা সাধারণত ইসিবি এবং ফেডের আর্থিক নীতিতে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, ইউরো অঞ্চলের কোন প্রধান দেশ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়, সেইসাথে আটলান্টিকের উভয় তীরে নির্বাচন এবং গণভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর কারণে ঘটে থাকে।
USD/CAD
মার্কিন এবং কানাডিয়ান ডলার সমন্বিত পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সূচক গড়ে 6.1%। কমোডিটি কারেন্সি হিসাবে, কানাডিয়ান ডলার তেলের দামের তীব্র পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য ওঠানামার শিকার হয়। সর্বোপরি, কানাডা অন্যতম প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ। এছাড়া উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার এবং মুদ্রানীতির পরিবর্তনও এই পেয়ারের বিনিময় হারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
USD/SGD
ইউএস ডলার/সিঙ্গাপুর ডলার পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা 4%। এই ক্ষুদ্র ক্রস পেয়ারটি তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ রেঞ্জে ট্রেড করার প্রবণতা রাখে, যা বাজারদরের দ্রুত পরিবর্তনের সন্ধানকারী ট্রেডারদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তোলে, যদিও এই পেয়ারের মূল্যেরও তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট দেখা যায়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ এবং সিঙ্গাপুরের মনিটারি অথরিটি দ্বারা গৃহীত আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক