মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
স্ট্যাচু অব ইউনিটি, ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তিটি ভারতের গুজরাটে অবস্থিত। এটি ভারতের লৌহ মানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে, যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। ২০১৮ সালে সর্দার প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় স্ট্যাচু অফ ইউনিটি উন্মোচন করা হয়েছিল। পদ্মফুলের আদলে নির্মিত পাদদেশের সাথে মূর্তিটির উচ্চতা মোট ২৪০ মিটার। স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে ৫টি স্তর রয়েছে এবং তৃতীয় তলার মাঝখানে একটি পর্যবেক্ষণ ডেক রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্মৃতিস্তম্ভটি ২০০ কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত হারিকেনের পাশাপাশি ৬.৫ পয়েন্ট মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত নিতেও সক্ষম।
লেইকিউন সিক্কায়া বুদ্ধা, মায়ানমার
স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাজ শেষ হওয়ার আগে, মিয়ানমারে নির্মিত বুদ্ধর স্মৃতিস্তম্ভ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তির তালিকার শীর্ষে ছিল। এই স্মৃতিস্তম্ভটি দশ বছর যাবত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ ছিল। বর্তমানে এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মূর্তিটি ১১৬ মিটার উঁচু এবং এটির পাদদেশ প্রায় ১৩.৪ মিটার দীর্ঘ। এটির পাদদেশে বিশ্বের বৃহত্তম বুদ্ধের মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে যার উচ্চতা প্রায় ৯০ মিটার। এটি ভিতরে একটি মন্দির রয়েছে। এছাড়াও, স্মৃতিস্তম্ভটির বেশ জটিল একটি অভ্যন্তরীণ কাঠামো রয়েছে। ধর্মীয় জাদুঘর সহ এটিতে ২৭টি তলা রয়েছে।
গারুডা ভিসনু কানচানা, ইন্দোনেশিয়া
১২২ মিটার উঁচু গারুডা ভিসনু কানচানা মূর্তি ইন্দোনেশিয়ার গারুডা ভিসনু কানচানা কালচারাল পার্কে অবস্থিত। এটি তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কৌতূহলজনকভাবে, মূর্তিটি তৈরি করতে ২৮ বছর সময় লেগেছিল এবং প্রায় $৩০ বিলিয়ন খরচ পড়েছিল। ১৯৯০ সালে নির্মাণকাজ শুরু হলেও কয়েক বছর পরে দেশটিতে আর্থিক সংকটের কারণে নির্মাণকার্য স্থবির হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে আবার কাজ শুরু করা হয়। বিশাল মূর্তিটি ৮০০টি পিতল এবং তামার স্ল্যাবের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল, যা ২১,০০০টি স্টিলের রডের কাঠামো দ্বারা সমন্বিত। এছাড়া মূর্তিটি ৩,০০০ টন তামা এবং ব্রোঞ্জের স্ল্যাব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গরুড় পাখির উপর উড়ন্ত দেবতা বিষ্ণুকে চিত্রায়িত করা হয়েছে, যার ডানা ৬০ মিটারেরও বেশি বিস্তৃত।
মাদারল্যান্ড মনুমেন্ট, ইউক্রেন
চলতি বছরে মাদারল্যান্ড মনুমেন্ট তাদের ৪০ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নে এই ধরনের মহিমান্বিত এবং উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সর্বপ্রথম নিদর্শন ছিল। স্মৃতিস্তম্ভটি ইউক্রেনের কিয়েভে অবস্থিত। স্মৃতিস্তম্ভটিতে একটি ৪০-মিটারের পাদদেশ রয়েছে এবং ৬২-মিটার তলোয়ার ও ঢাল ধারণকৃত নারী মূর্তি নিয়ে গঠিত। পূর্বে, দর্শনার্থীগণ ৩২ মিটার এবং ৯৬ মিটারে অবস্থিত ২টি পর্যবেক্ষণ ডেকে আরোহণ করতে পারত। তবে, ২০০৩ সালে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। ২০০৯ সাল থেকে স্মৃতিস্তম্ভটি পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই মেয়ারমত প্রক্রিয়ায় মূর্তিটির পুরোন সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্ত্র শোভা পাবে নাকি ইউক্রেনের অস্ত্র শোভা পাবে তা নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক রয়েছে।
সেন্ডাই ডাইকানন, জাপান
সেন্ডাইয়ের ডাইকানন মূর্তিটি বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম মূর্তি। এটি রত্ন-বহনকারী নয়োইরিন ক্যাননকে চিত্রিত করে, যা করুণার সাথে যুক্ত বৌদ্ধ বোধিসত্ত্বের একটি জাপানি উপস্থাপনা। পূর্বে তার সম্মানে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হলেও সেন্ডাইয়ের স্মৃতিস্তম্ভটিকে সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হয়। ৩২৮ ফুট (১০০ মিটার) উচ্চতায়, এটি শহরের কেন্দ্রস্থলের উত্তরের একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত এবং এটি শহরের যেকোনো অংশ থেকে দেখা যায়। দর্শনার্থীরা ড্রাগনের মুখের আকারে তৈরি প্রবেশদ্বার দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন। স্মৃতিস্তম্ভের ১২তম (সর্বোচ্চ) তলায় একটি মন্দির রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পর্যটকরা লিফটে যেতে পারবেন কিন্তু ফেরার সময় পায়ে হেঁটেই নামতে হবে।
গুইশান গুয়ানিন, চীন
কাননের মতো, গুয়ানিন দয়ার দেবী এবং দয়াশীলতার মূর্ত প্রতীক হিসাবে বিবেচিত। এই কারণে, এটি সর্বদা প্রসারিত বাহু দিয়ে চিত্রিত করা হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, এটি প্রত্যেককে প্রয়োজনে সাহায্য করে। চীনে এই দেবীর মূর্তিতে সোনালি তামার সাহায্যে, ৪০টি হাত সংযুক্ত রয়েছে। তবে বেশীরভাগ মানুষ এই স্মৃতিস্তম্ভটিকে হাজার হাতের গুইশান গুয়ানিন বলে ডাকে, ঠিক যেমনটি চীনা কিংবদন্তিতে দেবীর হাজার হাত ছিল। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় বলে এই স্মৃতিস্তম্ভটিকে মহিমান্বিত করার জন্য ৯২ মিটার উঁচু করা হয়েছে।
মাদারল্যান্ড কলস, রাশিয়া
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক কংক্রিটের স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করতে ৮ বছর সময় লেগেছে। এটি ১৯৬৭ সালে উন্মোচন করা হয়েছিল। সেই সময়ে, ৮৫-মিটার উঁচু ভাস্কর্যটি একটি উত্থাপিত তলোয়ার সহ একজন নারী চিত্রিত করে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্যের খেতাব অর্জন করেছে। বিশ বছর ধরে, মাদারল্যান্ড কলের ভাস্কর্যটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা। এটি রাশিয়ার ভলগোগ্রাদে অবস্থিত। এই চিত্তাকর্ষক স্মৃতিস্তম্ভটি শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মামায়েভ কুরগানে অবস্থিত। তবে এর ছোট আকারের কপি চীনের মাঞ্চুরিয়াতেও দেখা যায়। সোভিয়েত সেনাবাহিনী জাপানি হানাদারদের হাত থেকে দেশটিকে মুক্ত করেছিল সেই স্মৃতিতে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছিল।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক