মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
জটিলতায় অনন্য
সুইজারল্যান্ডের ‘ইয়েগার লা কোউরটা’ কোম্পানি গত ৯০ বছর ধরে তাদের বিখ্যাত রিভার্সো ঘড়ি তৈরি করে আসছে। জটিলতার ক্ষেত্রে, তারা ঘড়ি তৈরিতে তাদের প্রায় একশ বছরের ইতিহাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ‘হাইব্রিস মেকানিকা ক্যালিবার ১৮৫’ হলো ইতিহাসের প্রথম হাতঘড়ি যার ডায়ালে চারটি হিনজ-যুক্ত আছে। সেরা এই ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকর্মটি পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত করতে ছয় বছর সময় লেগেছে। এটি ১১টি জটিল যান্ত্রিক হিসাব কে সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে একটি চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার এবং একটি সৌর ও চন্দ্রগ্রহণের পূর্বাভাস নির্দেশক রয়েছে।
বাতাসের মতো হালকা
ইতালীয় ঘড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি ‘বুলগারি’ তার ‘অক্টো ফিনিসিমো’ সংগ্রহ নবায়ন করে একের পর এক বিশ্বরেকর্ড চুর্ণ করে চলেছে। গত সাত বছর ধরে, রোমান ঘড়ি প্রস্তুতকারীরা নিজেদের এবং অন্যান্য প্রতিযোগিদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে একের পর এক হালকা ঘড়ি প্রস্তুত করে৷ তাদের নতুন পণ্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ঘড়ি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । ঘড়িটি মাত্র ২.৭৫ মিলিমিটার পুরু এবং পুরো টাইটানিয়াম কেসটি মাত্র ৫.৮ মিলিমিটার জায়গা দখল করে। ঘড়িটিতে ৪০০ এর বেশি যন্ত্রাংশ কে সমন্বয় করা হয়েছে যা স্থানের তুলনায় সত্যিই অসাধারণ ।
স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ
সুইস হাব্লট কোম্পানির ঘড়িতৈরী যাদুর থেকে কম কিছু নয়। কারণ পৃথিবীতে শুধু তারাই একরঙা অ্যালুমিনিয়ামের মতো সম্পূর্ণরূপে অনির্ভরযোগ্য কিন্তু শৈল্পিক উপাদান থেকে ঘড়ি তৈরি করতে পেরেছেন। এটি জনসাধারণের কাছে স্যাফায়ার ক্রিস্টাল হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ‘বিগ ব্যাং ইন্টিগ্রাল ট্যুরবিলন ফুল স্যাফায়ার’ ঘড়িটি তে একটি পুরোপুরি স্যাফায়ারে তৈরী কেস এবং ব্রেসলেট রয়েছে, যাতে ঘড়িটি স্ফটিকের মত স্বচ্ছ বা প্রায় ইথারিয়াল দেখায়।
প্রকৃতির সেরা বন্ধু
ইতালীর পানেরাই কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে তার "সবুজ" এজেন্ডার জন্য পরিচিত। এই বছর, প্রকৃতির প্রতিনিধি কোম্পানিটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘড়ি তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘড়িটির প্রতিটি অংশ যেমন টাইটানিয়াম বডি, স্যাফায়ারের কাঁটা, ব্যান্ড, এবং অন্যন্য যন্ত্রাংশ এমনকি আলোকিত ব্যাকলাইট পর্যন্ত পুনর্ব্যবহৃত কাচামাল থেকে তৈরী হয়েছে। নিমজ্জনযোগ্য eLAB-ID ঘড়িটি ৯৮% পুনর্ব্যবহৃত কাচামাল থেকে তৈরী। পুরোপুরি ১০০% না হওয়ার একমাত্র কারণ হল কিছু উপাদান পুনর্ব্যবহার করতে হলে নতুনের চেয়েও খরচ এবং শক্তি বেশি প্রয়োজন হবে।
চরম সীমা ছাড়িয়ে
সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ঘড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি তার সুপার শক-প্রতিরোধী ঘড়িটি তৈরি করতে আট বছর সময় নিয়েছে। ক্র্যাশ পরীক্ষা চলাকালীন, বিগ পাইলটের ঘড়ি ‘শক অ্যাবজরবার এক্সপিএল’ ৩০,০০০ গ্যালন চাপ সহ্য করে টিকে ছিল। ঘড়িটিতে ব্যবহৃত একটি বিশেষ ক্যান্টিলিভার-ভিত্তিক স্প্রিং মাধ্যমে সম্ভব হয়েছিল এবং এর কেসটি একটি টেকসই টাইটানিয়াম মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়েছিল। এই নতুন পণ্যটি অত্যন্ত শ্রমলব্ধ, তাই প্রতি বছর কোম্পানি দশটির বেশি ঘড়ি উৎপাদন করে না।
উজ্জ্বল সাফল্য
নতুন ‘রজার ডুবিয়াস’ ঘড়িটি হলো আলোকসজ্জার বিজয়ী যখন অন্ধকার নেমে আসে। ‘এক্সক্যালিবার গ্লো মি আপ’-এর চমৎকার বাহারি রঙের আলোকসজ্জা সম্ভব হয়েছে ঘড়ির হাতলে, ট্যুরবিলন ক্যারিয়েজ, কাঁটায় এবং এমনকি ৬০টি ব্যাগুয়েট-কাট হীরার নীচের খাঁজগুলিতে প্রয়োগ করা বিশেষ উজ্জ্বল রঙের জন্য ।
গভীরতার খোঁজে
পাঁচ দিনের পাওয়ার রিজার্ভ এবং দশ বছরের ওয়ারেন্টি সহ এই নতুন ঘড়িটি তৈরী করতে সুইস কোম্পানি ওরিসের ৫ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ‘ঘড়ি ও বিস্ময়- ২০২১’ এ প্রদর্শিত সমস্ত নতুন ঘড়িগুলোর মধ্যে ‘অ্যাঁকুইস দাতে ক্যালিবার’ হল ডুবুরিদের জন্য পরম আরাধ্য৷ ঘড়িটি পানির নিচে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই। কালো পিভিডি আবরণ সহ ৪৯.৫ মিলিমিটারের শক্ত টাইটানিয়াম কেস দ্বারা এই জাতীয় পানি-প্রতিরোধীতা নিশ্চিত করা হয়। এই ডাইভ-উপযোগী ঘড়িতে রাবারাইজড অংশগুলিও রয়েছে যা ভিজা গ্লাভস নিয়েও কাজ করা সহজ করে তোলে।
চকচকে ঘড়ি
শোপার্ড-এর সহ-সভাপতি এবং শৈল্পিক পরিচালক ক্যারোলিন শ্যুফেল জানেন যে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর রত্ন কোথায় পাওয়া যায় – এবং কিভাবে সেগুলিকে প্রদর্শন করা যায়৷ এই সুইস ঘড়ি এবং গয়না প্রস্তুতকারকের সর্বশেষ নতুনত্বটি কোন ব্যতিক্রম নয়। এই অনন্য সুন্দর ঘড়িটি ক্যারেট সাদা সোনা দিয়ে তৈরি এবং এতে ৫টি ঘূর্ণায়মান হীরা, সেইসাথে মূল্যবান গোলাপী বা নীল মার্কুইস-কাট স্যাফায়ারের মুকুট রয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক