মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
জেফ বেজোস, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বহুজাতিক রিটেইল সংস্থা অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোস ফোর্বসের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন৷ ২০২০ সালে, অ্যামাজনের আয় ৩৮% বেড়ে $৩৮৬.১ বিলিয়ন হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, ২০২০ সালেও বেজোস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। গত এক বছরে, তার সম্পদ $৬৪ বিলিয়ন থেকে $১৭৭ বিলিয়নে পরিণত হয়েছে।
ইলন মাস্ক, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও
ফোর্বসের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইলন মাস্ক, ২০২০ সালে যার সম্পদের পরিমাণ $১২৬.৪ বিলিয়ন বেড়েছে। এক বছর আগে টেসলার সিইও এই তালিকার ৩১ তম অবস্থানে ছিলেন। তবে এক বছরের মধ্যে, তিনি অত্যাশ্চর্য ফলাফল অর্জন করে ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। বর্তমানে, মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত, তার আয় ১৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বের অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি। যার ফলে ২০২০ সালে কোম্পানির শেয়ারের মূল্যের ৭২০%-এর ব্যাপক বৃদ্ধির সূত্রপাত করে। মাস্ক হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে সবচেয়ে সফল বিলিয়নিয়ার।
বার্নার্ড আর্নল্ট, এলভিএমএইচ (LVMH)-এর চেয়ারম্যান এবং সিইও
ফ্রেঞ্চ কর্পোরেশন লুই ভুইটন মোহাই হেনেসি (এলভিএমএইচ)-এর সিইও বার্নার্ড আর্নাল্ট বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন৷ ফোর্বসের অনুমান অনুসারে তার মোট সম্পদের পরিমাণ $১৫০ বিলিয়ন। গত বছর, করোনভাইরাস মহামারীর কারণে, এলভিএমএইচ এর আয় ৩৪% কমে €৪.৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আংশিকভাবে, বিলাসী পণের চাহিদা কমে যাওয়ায় কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে। তবে আর্নল্ট প্রাথমিকভাবে কিছু ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারীতে, এলভিএমএইচ কিছু ঋণের বাধ্যবাধকতা সহ $১৬.৯ বিলিয়নে টিফ্যানি জুয়েলারি ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করে। বিলাসবহুল পণ্যের শ্রেনিতে এটি সর্ববৃহৎ অধিগ্রহণ ছিল, যার ফলে আর্নল্টের সম্পদ $৪ বিলিয়নেরও বেশি বেড়েছে।
বিল গেটস, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা
ফোর্বস তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার সম্পদের পরিমাণ $১২৪ বিলিয়ন। তার স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত দাতব্য ফাউন্ডেশনের প্রধান। তিনি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছেন। একই সময়ে, এই বিলিয়নিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি জমির বৃহত্তম ব্যক্তিগত মালিক। তিনি আমেরিকার ১৯টি অঙ্গরাজ্যের ১,০০০ বর্গ কিলোমিটার কৃষি জমির মালিক। গেটস জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তিনি পৃথিবীর জলবায়ু ও বড় কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতার উন্নতির জন্য সমাধান খুঁজছেন।
মার্ক জাকারবার্গ, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা
ফোর্বসের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক $৯৭ বিলিয়ন। জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর, জাকারবার্গের আয় $৮ বিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, অ্যামাজন, ফেসবুক এবং গুগল শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের পুনরুদ্ধারের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কিছুদিনের জন্য $১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ, ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য আরও বেশি বেড়েছে। ই-কমার্সের বিকাশ এবং বিজ্ঞাপনের বাজারে আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোম্পানিটির অব্যাহত প্রচেষ্টাই এই বৃদ্ধির মূল কারণ বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ওয়ারেন বাফেট, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও
বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে ওয়ারেন বাফেট ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন। তিনি বীমা প্রতিষ্ঠান গাইকো, ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ডুরাসেল এবং রেস্তোরাঁ চেইন ডেইরি কুইন সহ ৬০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের মালিক। বর্তমানে, বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ $৯৪ বিলিয়ন যার জন্য তার বিজ্ঞ বিনিয়োগকে ধন্যবাদ জানানো যেতে পারে। এটি অবাক করার মতো কিছু নয় যে তাকে শেয়ার বাজারের রাজা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সাথে সহযোগিতার নিদর্শনস্বরূপ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অর্থ প্রদান করেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে, বাফেট এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানে $২.৯ বিলিয়ন মূল্যের বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের শেয়ার দান করেছিলেন।
ল্যারি এলিসন, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা
ফোর্বসের তালিকার সপ্তম স্থানটি সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন দখল করেছেন। তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক $৯৩ বিলিয়ন। ২০২১ সালে, ওরাকল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সফটওয়্যার বিকাশকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও, ল্যারি এলিসন চিকিৎসা ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং কৃষি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করেছেন। এই ব্যবসায়ী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং দীর্ঘায়িত জীবন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোতেও অর্থ দান করেছেন। করোনভাইরাস মহামারী চলাকালীন সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সহায়তায় এই ধনকুবের করোনভাইরাস রোগীদের পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। এলিসন কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ল্যারি পেজ, অ্যালফাবেটের সাবেক সিইও
গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সাবেক সিইও ল্যারি পেজ বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছেন। $৯১.৫ বিলিয়নের সম্পদের অধিকারী এই ব্যবসায়ী ১৯৯৮ সালে সের্গেই ব্রিনের সাথে একত্রে ইন্টারনেট কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই অংশীদারগণ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণকারী বৃহত্তম আইটি কন্সার্ন তৈরি করেছেন। পেজ প্ল্যানেটারি রিসোর্সেসেরও সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যে কোম্পানি পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদের সক্ষমতা অন্বেষণে কাজ করে চলেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, গুগলের মূল কোম্পানি আলফাবেটের উপার্জন বৃদ্ধির প্রতিবেদনের ফলে তার সম্পদের $১০ বিলিয়ন বেড়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি সপ্তাহে আইটি জায়ান্টের শেয়ারের মূল্য ১৪% এর বেশি বেড়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক