মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
ইভ আর্নল্ড
ইভ আর্নল্ড (1912-2012) হলেন প্রথম মহিলা ফটোগ্রাফার যিনি বিশ্ব-বিখ্যাত ম্যাগনাম ফটো এজেন্সিতে যোগদান করেছিলেন। একজন প্রতিভাধর ফটোসাংবাদিক, নিউজ ফটোগ্রাফিতে তিনি দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার কাজগুলোতে, আর্নল্ড মূলত শৈশব, পিতামাতা এবং শিশুদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে মনোনিবেশ করেছিলেন। তার সংবেদনশীলতা এবং বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি সাহস এবং উচ্চাকাংখা তাকে গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হতে প্রাণবন্ত সংবাদ প্রতিবেদন তুলে আনতে সহায়তা করেছিল- যার মধ্যে রাজনৈতিক বিক্ষোভ থেকে বন্ধ প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল। মার্গারেট থ্যাচার, দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মেরিলিন মনরো, মার্লেন ডিয়েট্রিচ এবং অন্যান্য সেলিব্রিটিদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবিও তুলেছিলেন আর্নল্ড। ইভ আর্নল্ড সবসময় বলেছেন যে একজনের ব্যক্তিত্ব সবসময় গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এই কারণে, ফটোগ্রাফারদের উচিত তাদের চিত্র প্রতিবেদনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া।
গ্রেসিয়েলা ইতুরবাইড
অনেক সমালোচক জোর দেন যে মেক্সিকান ফটোগ্রাফার গ্রাসিয়েলা ইতুরবাইডের ছবিগুলো বেশ সিনেমাটোগ্রাফিক। সেন্ট্রো ডি ক্যাপাসিট্যাসিওন সিনেম্যাটগ্রাফিয়া (Centro de Capacitación Cinematográfica) -তে তার পড়াশোনা তার কাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। গ্রাসিয়েলা উল্লেখ করেছেন যে তার কাজ হেনরি কার্টিয়ের-ব্রেসন, জোসেফ কুডেলকা এবং সেবাস্তিয়াও সালগাদোর মতো ফটোগ্রাফি কিংবদন্তীদের শিল্পের উপাদানগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। তিনি অস্তিত্বের অনুসন্ধান, দৈনন্দিন জীবনে অভিনবত্ব, পাশাপাশি সমাজে নারীদের ভূমিকার মতো বিষয়গুলিতে আগ্রহী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনডিজিনাস পিপলস অফ মেক্সিকো-এর এথনোগ্রাফিক আর্কাইভ অনুমোদন পেয়ে, তিনি সেরি, জুচিটান এবং অন্যান্য ইন্ডিয়ানদের বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে ইতুরবাইড বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও রীতিনীতি শিখেছেন।
ভিক্টোরিয়া ইভালেভা
রাশিয়ান ফটোসাংবাদিক ভিক্টোরিয়া ইভালেভা হলেন একমাত্র ফটোগ্রাফার যিনি চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চতুর্থ ব্লকে বিপর্যয়ের পরপরই প্রবেশ করেছিলেন। চেরনোবিল চুল্লির উপর তৈরি প্রতিবেদনটি ফটোগ্রাফির বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো গোল্ডেন আই-এ ভূষিত হয়। ইভালেভার ছবি দ্য গার্ডিয়ান এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ প্রধান রাশিয়ান এবং বিদেশী ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে, তিনিই একমাত্র রাশিয়ান ফটোগ্রাফার যিনি এই দক্ষিণ আফ্রিকার দেশে গণহত্যার খবর তুলে এনেছিলেন। ইভালেভা শুধুমাত্র কোনো ঘটনার ছবি তুলেই ক্ষান্ত হননি বরং তার প্রতিবেদনের প্রধান চরিত্রদের সাহায্য করারও চেষ্টা করেছিলেন। এতে তার মানসিক সংকট দেখা দেয়। রুয়ান্ডা থেকে ফেরার পর তিনি ছবি তোলা বন্ধ করে দেন। পুরো ১০ বছর লেগে যায়, ইভালেভার কাজ অর্থাৎ ফটোগ্রাফিতে ফিরে আসার শক্তি পেতে। এরপরেও, তিনি জনহিতকর কার্যকলাপে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন।
স্যালি মান
জনপ্রিয় আমেরিকান ফটোগ্রাফার এবং সার্টিফিকেট প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ স্যালি মান তার মেয়েদের অসংখ্য ছবির জন্য পরিচিত। তিনি শৈশব এবং কৈশোর সেইসাথে মেয়েসুলভ কমনীয়তার মত বিষয়বস্তুতে মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে, ম্যানের তোলা ছবির একটি সংগ্রহ "অ্যাট টুয়েলভ: পোর্ট্রেট অফ ইয়াং উইমেন" প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯২ সালে, তিনি "ক্লোজ রিলেটিভস" অ্যালবামটি প্রকাশ করেন যেখানে তিনি তার সন্তানদের সাথে বেড়ে ওঠার গল্পটি ছবির মাধ্যমে তুলে এনেছিলেন৷ এই চিত্রগুলো বড় হওয়া, জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং মৃত্যুর মত বিষয়ে চিত্রগ্রাহকের চিন্তাকে ফুটিয়ে তোলে৷ তিনি উল্লেখ করেছিলেন, "ছবি অতীতের দরজা খুলে দেয় এবং একই সাথে তারা ভবিষ্যতও দেখায়। ফটোগ্রাফির কোন নিয়ম নেই; এটা কোনো খেলা নয়। যেভাবেই অর্জন করা হোক না কেন এটি এমন একটি ফলাফল যা জীবনের হিসেব দেয়। এই দ্বৈত উপলব্ধির জন্য জাপানিদের একটি প্রবাদ রয়েছে: ‘মনো নো অওয়ার’ যার অর্থ হলো "সৌন্দর্য মিশে থাকে দুঃখের সাথে" কারণ হারানোর অন্তর্নিহিত ব্যাথা ছাড়া কোন সত্যিকারের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে না।" তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানুষের যা প্রিয় তা রাখা উচিত এবং জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে ধরে করার চেষ্টা করা উচিত৷
ন্যান গোল্ডিন
বিশেষজ্ঞরা ন্যান গোল্ডিনকে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের অন্যতম প্রভাবশালী ফটোগ্রাফার বলে মনে করেন। ফ্রেঞ্চ লিজিয়ন অফ অনার পুরস্কার জয়ী, ন্যান গোল্ডিন নারী যৌনতা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের আসক্তি এবং লিঙ্গ পরিচয়ের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেন। এই ফটোগ্রাফারের লেন্স সহিংসতা, অ্যালকোহল এবং মাদকাসক্তি, জীবন এবং ১৯৮০ এর দশকের নিউ ইয়র্ক বোহেমিয়ানের রীতিনীতির মত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে এনেছে। এই সময়ে, গোল্ডিন "দ্য ব্যালাড অফ সেক্সুয়াল অ্যাডিকশন" শিরোনামে তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের একটি সিরিজ তৈরি করেছিলেন। ফটোগ্রাফারের ভাগ্যের নির্ধারক ফ্যাক্টরটি ছিল পরিবারে একটি দুঃখজনক ঘটনা: নানের বয়স যখন ১২ বছর, তখন তার বড় বোন আত্মহত্যা করেছিল। গোল্ডিনের কাজের মূল বিষয়বস্তু ছিল স্ব-প্রতিকৃতি, সেইসাথে কাছের এবং পরিচিত লোকদের ছবি।
মার্গারেট বোর্ক-হোয়াইট
আমেরিকান ফটোগ্রাফার মার্গারেট বোর্ক-হোয়াইট (1904-1971) অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগামী ছিলেন: তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যুদ্ধ সাংবাদিক যাকে যুদ্ধের ময়দানে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেইসাথে লাইফ ম্যাগাজিনের প্রথম মহিলা ফটোগ্রাফার। বিশ্লেষকদের মতে, "প্রথম", "শুধুমাত্র", "অনন্য" বিশেষণগুলো সারাজীবনই বোর্ক-হোয়াইটের সাথে ছিল। বোমারু বিমানের পাশে ফ্লাইট ইউনিফর্ম পরা একজন নারীর প্রতিকৃতি ছিল তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে একটি। এটি যুদ্ধের সময় প্রায় প্রতিটি সৈন্য ব্যারাকে ঝুলে ছিল। যুদ্ধের শেষে, বার্ক-হোয়াইট বুচেনওয়াল্ড কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের পাশাপাশি লাইপজিগ-থেকলা শ্রম শিবিরের গল্প তুলে এনেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, তিনি "ডিয়ার ফাদারল্যান্ড, রেস্ট কোয়াইটলি" বইটি প্রকাশ করেছিলেন যেখানে তিনি যুদ্ধ সাংবাদিক হিসাবে তার কাজ সম্পর্কে লিখেছেন। পরে, এম. বোর্ক-হোয়াইট ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়ও কাজ করেন।
ক্যারল গুসি
ফটো সাংবাদিক ক্যারল গুসির পোর্টফোলিওতে, প্রায় ১৫টি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার রয়েছে। তিনিই একমাত্র সাংবাদিক যিনি চারবার পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। গুসি ১৯৯০-এর দশকে তোলা কসোভো শরণার্থীদের ছবির জন্য এবং সেইসাথে আমেরিকান সামরিক অভিযান "গণতন্ত্রের জন্য সমর্থন" এর ছবি প্রকাশের জন্য তার পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে হাইতিতে ভূমিকম্পের পরিণতি সম্পর্কে বলা হয়েছে এমন কয়েকটি প্রতিবেদনের জন্যও পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল। ক্যারল বলতেন যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলো যেটি তিনি উপলব্ধি করার এবং ক্যাপচার করার চেষ্টা করছেন তা হলো প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে আসা তার নিজস্ব উজ্জ্বলতা। ছবি তোলার সময়, তিনি মানুষের আবেগ, বিশেষ করে গভীর শোক এবং বেদনার মুহুর্তগুলিতে খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
ডরোথিয়া ল্যাঞ্জ
বিশেষজ্ঞরা ডরোথিয়া ল্যাঞ্জকে (1895-1965) গত শতাব্দীর ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফির অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি বলে মনে করেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ক্রনিকলার (যিনি বিভিন্ন সময়ের ঘটনা ইতিহাস আকারে লিপিবদ্ধ করে থাকেন) ছিলেন। ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফির বিকাশে কিংবদন্তি ফটোগ্রাফারের প্রভাব অপরিমেয়। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দা সম্পর্কে একাধিক ছবির পর ব্যাপকভাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার চিত্রকর্মের সিরিজের ছবি "দ্য মাইগ্রেন্ট মাদার" (1936) আইকনিক ছিল। এই ছবির চরিত্র ফ্লোরেন্স ওয়েন্স থম্পসনকে তার স্বামীর মৃত্যুর পর ৭সন্তান নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার শ্রম শিবিরে যেতে হয়েছিল। ক্ষুধার্ত শিশুদের তাদের ক্ষীণকায় মাকে জড়ীয়ে ধরে থাকার একটি ছবি মহা বিষন্নতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক