empty
 
 
14.01.2025 09:18 AM
১৪ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2107 লেভেলে নেমে আসে, যেখানে মূল্যের রিবাউন্ডের পর একটি নতুন কারেক্টিভ মুভমেন্ট শুরু হয়। এই 100-পিপসের বাউন্স বিভ্রান্তিকর হতে পারে না; এটি বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতার জন্য যথেষ্ট নয়। এই পেয়ারের মূল্যের সামনে একটি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ছিল, যা এই সামান্য দর বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছিল। তবে, আজই পুনরায় এই পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। আগামীকাল এবং পরশু যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সপ্তাহের প্রধান প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখতে পারে। সোমবার উভয় দেশেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা তবুও সক্রিয় ছিল। আমরা আশা করছি পাউন্ডের মূল্য 2024-এ নির্ধারিত টার্গেট লেভেল 1.1800-এ পৌঁছাতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। রাতের বেলা, মূল্য 1.2164 থেকে 1.2170 রেঞ্জ ব্রেক করে যায়। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে 1.2107 পর্যন্ত নেমে যায়। মার্কিন সেশনে, মূল্য আবার 1.2107 থেকে রিবাউন্ড করে এবং 1.2164 থেকে 1.2170 রেঞ্জের উপরে উঠে যায়। রাতে মূল্য 1.2235 এর উচ্চতায় পৌঁছানোর পর পুনরায় নিচে নেমে আসে।

এটি স্পষ্ট যে, অনেক ট্রেডার রাতের সেশনে ঘুমিয়ে ছিল, যা শেষ সেল সিগন্যাল কার্যকর করা কঠিন করে তোলে। তবে, দিনব্যাপী, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার পর লং পজিশন ওপেন করতে পারত, এবং সকল ট্রেডই লাভজনক হতে পারত।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং প্রায় প্রতিদিনই পাউন্ডের দরপতন ঘটছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে 1.1800 লেভেলের দিকে আরও দরপতনই সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি। সুতরাং, আমাদের এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা উচিত, তবে সবসময় টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2235 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করার পরে নতুন করে দরপতন শুরু হতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে মনোযোগ দেয়া যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2235, 1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, তবে এটি ডলারের মূল্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.