আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2364 এর লেভেলে পৌঁছায়, যা এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। তদুপরি, আমি এই পেয়ারের মূল্যের দ্বিতীয়বারের মতো 1.2364 লেভেলে পৌঁছানোর বিষয়টিও লক্ষ্য করিনি, যা আমাকে সেল ট্রেড শুরু করার জন্য প্ররোচিত করতে পারত।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন এমন খবরের প্রভাবে পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত ADP শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলও GBP/USD পেয়ারের পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়নি। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও কঠোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এই পরিস্থিতি উদীয়মান বাজার থেকে মূলধন অপসারণ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ডলারকে প্রাথমিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
আজ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত ডেপুটি গভর্নর সারা ব্রিডেন বক্তব্য দেবেন। তিনি তার ভারসাম্যপূর্ণ এবং চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্য পরিচিত, যা সাধারণত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপে প্রভাব ফেলে থাকে। ট্রেডাররা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং সুদের হারের পরিবর্তন সম্পর্কিত সম্ভাবনার ব্যাপারে তার মূল্যায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষ গুরুত্ব থাকবে ব্যাংকিং সিস্টেমের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ সুদের হারের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকির ব্যাপারে তার মন্তব্যের প্রতি। যদি তিনি কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের ইঙ্গিত দেন, তবে এটি মার্কেটে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। বিপরীতে, তার নমনীয় অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদকে সমর্থন যোগাতে পারে।
আজকের দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #১: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2386-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2325-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2386-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। শুধুমাত্র গতকাল ব্যাপক বিক্রির পরে একটি কারেকশনের অংশ হিসাবে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে, এছাড়া পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #২: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2286-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2325 এবং 1.2386-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #১: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2286-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2231-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকায় মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #২: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2325-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2286 এবং 1.2231-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।