আরও দেখুন
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও দিনের শেষ নাগাদ মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখন এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা কারেকটিভ মুভমেন্টের অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মূল্য এই ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থির না হয়, দুই-দেড় মাস আগে শুরু হওয়া বিয়ারিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়া নিয়ে আলোচনা করার খুব বেশি অর্থ নেই, কারণ এটি অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
মাঝারি মেয়াদে, আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি। এর কারণগুলো আমরা পূর্বেও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি এবং সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট প্রতিবেদন বা ইভেন্ট মাঝে মাঝে পাউন্ডকে সমর্থন দিতে পারে এবং কারেকটিভ মুভমেন্টের সূচনা ঘটাতে পারে, মোটাদাগে এই পেয়ারের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট অপরিবর্তিতভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তবে, গত সপ্তাহে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বেশিরভাগ সময় উর্ধ্বমুখী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল এতটা দুর্বল ছিল না যে এটি পুরো সপ্তাহব্যাপী ডলারের দরপতনকে বৈধতা দিতে পারে। সুতরাং, আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি মূলত একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল, যা নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ঘটেছে।
শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশের সময়সূচির সাথে মিলে যাওয়ায় এটি কার্যকর করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রকাশিত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফলের কারণে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2796–1.2816 লেভেল থেকে পুনরায় বাউন্স করবে কিনা তা অনুমান করা কঠিন ছিল। তবুও, মূল্য উক্ত লেভেল থেকে বাউন্স করেছে এবং পরবর্তী বড় দরপতন দেখিয়েছে, যা এই সপ্তাহেও চলমান থাকতে পারে। এমনকি যদি শুক্রবার এই ট্রেড ক্লোজ করা হয়ে থাকে, তাহলে এই ট্রেড থেকে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করা সম্ভব ছিল।
সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল ব্রেক করেছে এবং পরবর্তীতে ট্রেন্ডলাইনে পৌঁছেছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাবে, এবং ট্রেন্ডলাইনের নিচে আরও কনসলিডেশনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 400টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,900টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে৷ ফলস্বরূপ, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা 2,300 কন্ট্রাক্ট কমেছে।
মৌলিক পটভূমি অনুযায়ী মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই। পাউন্ডের মূল্যের ব্যাপক মাত্রায় নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রকৃত সুযোগ রয়েছে। যদিও ট্রেন্ডলাইনটি এইভাবে আরও দরপতন রোধ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য এটি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে সেটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে, ফলে পাউন্ডের মূল্য 1.3500 এর উপরে চলে যেতে পারে। যাইহোক, এই মুহূর্তে কি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি বিদ্যমান রয়েছে?
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে, যদিও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হচ্ছে। টেকনিক্যাল কারেকশনের বাইরে, আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তি দেখছি না। তবুও, পাউন্ডের মূল্যের অসাধারণ স্থিতিশীলতা এখনও বেশ স্পষ্ট, কারণ ইউরোর মূল্য স্থবির থাকলেও বা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা না থাকলেও পাউন্ডের মূল্য বাড়ছে।
৯ ডিসেম্বর, আমরা নিম্নলিখিত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি: 1.2429-1.2445, 1.2516, 1.2605-1.2620, 1.2796-1.2816, 1.2863, 1.2981-1.2987, 1.3050.। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.2616) এবং কিজুন-সেন (1.2716) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।
সোমবার, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। এর ফলে, আমরা অপেক্ষাকৃত ঝামেলাহীনভাবে এ সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের সূচনার আশা করছি। তবে, শুক্রবার মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে এবং বুধবার মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে। এদিকে, ট্রেন্ডলাইনের কারণে এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের খুব বেশি সুযোগ নেই।