আরও দেখুন
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং কার্যকলাপ অত্যন্ত সীমিত ছিল। দিনের মধ্যে মাত্র একটি প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারত, তবে তা হয়নি। JOLTs থেকে প্রকাশিত অক্টোবরের প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা তাত্ত্বিকভাবে ডলারকে শক্তিশালী করার কথা ছিল। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে।
ফলে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে (EUR/USD-এর তুলনায়) এবং কিছু সময়ের জন্য এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে। পেয়ারটির মূল্যের মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। মধ্য মেয়াদে, আমরা এখনও ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যদিও স্বল্পমেয়াদে কারেকশন চলমান থাকতে পারে।
মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি খুবই অকার্যকর সেল সিগনাল গঠিত হয়েছিল। আগের যে ট্রেডিং এরিয়া নির্ভরযোগ্য ছিল, সেটি গতকাল ট্রেডারদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছে। এটি মনে হচ্ছিল, বড় ট্রেডাররা ইচ্ছাকৃতভাবে এই পেয়ারের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করেছিল যাতে ছোট ট্রেডারদের স্টপ-লস হিট করা যায়। যেভাবেই হোক, এই সিগনাল থেকে লাভ করা সম্ভব ছিল না।
এর পাশাপাশি, যদিও JOLTs থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী এটি ডলারের পক্ষে কাজ করার কথা ছিল, তবে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটে, যা সমানভাবে বিভ্রান্তিকর ছিল। সামগ্রিকভাবে, গতকালের ট্রেডিংয়ের ব্যাপারে আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমরা মনে করি এটি সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো একটি কারেকশন মধ্যে রয়েছে, যা শেষ হতে কিছুটা সময় নিতে পারে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বর্তমানে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা নতুন করে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারেন, কারণ এই পেয়ারের মূল্য 1.2680–1.2685 এর এরিয়া ব্রেক করতে পারেনি এবং গতকাল অস্বাভাবিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য উল্লিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। যুক্তরাজ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা দেবেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতাও অনুষ্ঠুত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে প্রকাশিতব্য পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ওপর বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেটির ফলাফল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।