আরও দেখুন
শুক্রবারের জন্য বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার সবগুলোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ করা হবে এবং প্রতিটি প্রতিবেদনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটের ট্রেডাররা নন ফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার, গড় মজুরির পরিবর্তন এবং ISM ম্যানফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করবে। নন ফার্ম এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের গুরুত্ব আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। এই প্রতিবেদনগুলো এখন মার্কেটের ট্রেডাররা এবং ফেডারেল রিজার্ভের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হয়ে উঠেছে। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার তুলনায় কম হ্রাস পেয়েছে এবং PCE সূচক মোটেও মন্থর হয়নি, তাই ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ এখন মার্কিন বেকারত্বের হার এবং শ্রম বাজারের উপর নির্ভর করবে। এই প্রতিবেদনগুলোর শক্তিশালী ফলাফল ফেডকে মূল সুদের হার 0.25% কমানোর সুযোগ দিতে পারে, যেখানে মাঝে মাঝে বিরতি গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে মার্কিন শ্রমবাজারের সমর্থন প্রয়োজন হবে, এবং ফেড অতিরিক্তভাবে সুদের হার 0.5% কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
শুক্রবারের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকায় মার্কেটের ট্রেডাররা পুরোপুরি এগুলোর উপর মনোযোগ দেবে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে, যা আগে থেকে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। এই সপ্তাহে ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদন ইউরো কিছুটা সমর্থন পেয়েছে, যেখানে পাউন্ড তেমন কোন সমর্থন পায়নি। তবে আজ, উভয় পেয়ারের মূল্য সম্ভবত একইভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে, কারণ মূল্যের দিকনির্দেশ প্রধানত মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হবে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।