আরও দেখুন
মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য স্থানীয় নিম্ন লেভেলের কাছাকাছি সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং অব্যাহত রেখেছে। মনে রাখবেন, ২০২৪ জুড়ে আমরা কতবার ডলারের ক্ষেত্রে এই কথা বলেছি? এর অর্থ হলো মার্কেটে এই পেয়ারের ক্রেতাদের অভাব রয়েছে, এবং বিক্রেতারা শর্ট পজিশনে লাভ গ্রহণ করছে না। তারা যদি লাভ গ্রহণ না করে, এর মানে তারা আরও মূল্যপতনের প্রত্যাশা করছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করেছে, তবে আমরা সতর্ক করেছিলাম যে এটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের নিশ্চয়তা হতে পারে না। এই সপ্তাহে একটি কারেকশন শুরু হতে পারে কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ডলারের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গতকাল প্রকাশিত JOLTs-এর প্রতিবেদনে সেপ্টেম্বরে প্রত্যাশার চেয়ে কম কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। তবে, অন্যান্য প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বিভিন্নরকম হতে পারে। যদি এগুলোর ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায়, তবে কারেকশন ছাড়াই ডলারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে 1.0797-1.0804 এরিয়ার আশেপাশে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টটি সাইডওয়েজ ছিল, এবং ভোলাটিলিটি ছিল কম। ফলস্বরূপ, এটি দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি ছিল না। সপ্তাহের বাকি সময়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার ফলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে এক মাসব্যাপী দরপতনের পর EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। ইউরোর সম্ভাব্য দর বৃদ্ধির অন্তত কিছুটা ভিত্তি রয়েছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, তবে ইউরোর জন্য সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ছাড়া এই কারেকশন শক্তিশালী হবে না। মাঝারি মেয়াদে, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.0797-1.0804 এর এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারে। যদি এই লেভেলের নিচে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে এটি নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য একটি ভালো সুযোগ হবে। বর্তমানে, লং পজিশন ওপেন করাও একটি বিকল্প হতে পারে।
৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে, বিবেচনা করার মতো লেভেলগুলো হলো 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, এবং 1.1132-1.1140। বুধবার, জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রান্তিক ভিত্তিক GDP প্রতিবেদন, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আজ কমপক্ষে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।